সবজি হিসেবে পেঁপে চাষ লাভজনক। অবসর সময় পেঁপে চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। চৈত্র এবং বৈশাখ মাসে আমাদের দেশে পেঁপের বাজার মূল্য অনেক বেশি থাকে।সাধারনত এ সময় ২০-৩০ টাকা কেজিতে পেঁপে বিক্রি হয়ে থাকে।
![]() |
Photo Source:www.flickr.com |
পেঁপের জন্য উঁচু জমি (যেখানে পানি জমে না এমন) বেলে এটেল মাটি অনেক উপযুক্ত ।মনে রাখতে হবে জমিতে যেন কোন ভাবে পানি জমে না থাকে।বৃষ্টি হলে সাথে সাথে পানি নেমে যায় এমন জমি পেঁপে চাষের জন্য সবচেয়ে ভাল।
পেঁপে জমি আগাছামুক্ত রাখতে হয় এজন্য জমি কয়েকবার চাষ দিয়ে নিতে হবে । মাটিটা ঝুরঝুরে করে নিয়ে মই দিয়ে মাটি সমান করে নিতে হবে।
পেঁপের চারাগুলো তৈরি করে অথবা বিভিন্ন নার্সারি থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে হাইব্রিড/দেশি চারা সংগ্রহ করা যায়। তবে যারা নিজে চারা করেন এতে ভালো মানের চারার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় ।
বাজার থেকে হাইব্রিড বা দেশি জাতের ব্রিজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করা যেতে পারে। বীজতলা বা পলিথিনে চারা তৈরি করতে হবে।
এক দোন জমিতে( ২৪ শতকে) মোট ৩০০ - ৩৫০ চারা প্রয়োজন হয় যদি চার হাত পরপর চারা লাগানো হয়।পরপর কয়েকবার আবাদের ক্ষেত্রে কিছুটা চারা বেশি প্রয়োজন হতে পারে।
চারা লাগানোর পূর্বে ছোট ড্রেন করে নিতে হয়। ড্রেনের পাশ দিয়ে সাড়ে চার হাত বাই চার হাট দূরে দূরে চারা গুলো বপন করতে করতে।চারা লাগানোর পরে সাধারণত ১-২ দিন পর চারা গোড়া গুলোন ভিজিয়ে নিতে হয়।
এক থেকে দু সপ্তাহ পরে যখন শিকর গুলো মাটির সাথে লেগে যায় তখন গাছের পাশ দিয়ে রিং করে সামান্য সার দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হয় এতে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি হয় এবং গাছ শক্তিশালী হয়।মনে রাখতে হবে আগাছা সবসময় পরিস্কার রাখতে হয় না হলে প্রয়োগকৃত সার গুলোন পেপে গাছের কোন কাজে আসেনা।
৩-৩.৫ মাসের মধ্যে ফুল আসে ( শীতকালে একটু সময় বেশি লাগতে পারে) ফুল আসার ১৫-২০ দিনের ভিতরে ফল আসে।তখন কিট বা অপুষ্ট ফল গুলো ফেলে দিতে হয় শুকনো ডাল গুলো ভেংগে দিতে হয়।এতে পেঁপের ফলন বৃদ্ধি পায় এবং আকারে বড় হয়।
ফল আসার একমাসের ভিতরে পেঁপে বাজারজাত করা যায়।এছাড়া চাইলে পেঁপে ক্ষেতের ভিতরে ঢেরশ কিংবা বেগুন আবাদ করা যায় ,এতে পেঁপের প্রয়োগকৃত সার দিয়েই ঢেরশ বা বেগুন আবাদ হয়ে যায় এবং পেঁপে ক্ষেত পোকা মাকর উপদ্রব কমে যায় আবার এসব আবাদ থেকেই পেঁপে ক্ষেতের খরচ উঠে আসে।
0 Comments